রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে জুয়া খেলা ও মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ইয়াকুব আলী (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধায় উপজেলার দিঘলী ও শিবনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। টানা ২ ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে পুলিশ-জনপ্রতিনিধিসহ অন্তত দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছে। নিহত শিবনগর গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে রেলওয়ের লালপুল এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় শিবনগর গ্রামের প্রতিপক্ষদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে দিঘলী গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র ফয়সল আহমদ। গ্রামের লোকজনকে গালিগালাজ করতে বাধা দেয় শিবনগর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র সাজু মিয়া ও স্থানীয় দোকানী ফরিদ মিয়া।
এসময় তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে সিএনজি অটোরিকশাযোগে যাওয়ার পথে সাদা ব্রীজ এলাকায় গাড়ীর গতিরোধ করে গাড়ী থেকে নামিয়ে সাজু মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে ফয়সল ও তার সহযোগিরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।
এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় শিবনগর ও দিঘলী গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে গোটা এলাকা পরিনত হয় রণক্ষেত্রে।
গুরুতর আহত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াকুব আলী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে পৌছে গোবিন্দগঞ্জ পুলের মুখ ও আশপাশ এলাকায় রাত ৮ থেকে পরদিন সকাল ৮ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’